সৈকতের পুলিশ হেফাজত হতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৮ অক্টোবর’২৩ : ভট্টাচার্য দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান সৈকত চাট‍্যাজির পুলিশ হেফাজত হতেই রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে।

উল্লেখ্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার দম্পতি প্রাক্তন উপ পুরমাতা অর্পনা ভট্টাচার্য ও তার স্বামী আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। দম্পতির ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায় সেখানে সৈকত সহ চারজনের নাম উঠে আসে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে।

সৈকত ছাড়া বাকি তিনজন গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে ছাড়া পায়। সৈকত আগাম জামিনের জন্য প্রথমে হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু উভয় কোর্টেই তার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর গতকাল সোমবার প্রায় চার মাস ফেরার থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয় সৈকত চাট‍্যাজি।

The political turmoil started with the police custody of the beach

সিজেএম আদালত গতকাল সৈকত’কে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার পরেই শহরের রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধানের হাতে একাধিক দফতর রয়েছে। সব দফতরের কাজ থমকে রয়েছে। ভোগান্তির স্বীকার শহরবাসী। যদিও শাসক দলের একাংশ কাউন্সিলরদের দাবি, পুরপ্রধান নিজের হাতেই সব দফতর রেখেছেন। দফতরগুলি ভাগ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন শাসক দলের একাংশ কাউন্সিলর।

টাউন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তথা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অম্লান মুনসি বলেন,”কে গ্রেফতার হল এই নিয়ে কংগ্রেস দলের কোন মাথা ব্যাথা নেই। উপ পুরপ্রধান কয়েকমাস থেকে শহরে নেই, এর জেরে পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

এদিকে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন,”মৃত দম্পতির কেউই বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এখন আইনের আওতায় পরেছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি এর জেরে পুর নাগরিকরা বিপদে পরেছেন। পরিষেবা পাচ্ছেন না।”

এদিক তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন ব‍্যানাজি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই। তবে বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। তিনি পুর পরিষেবা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন,”উপ পুরপ্রধানের হাতে একাধিক দফতর ছিল। সেই দফতর নিয়ে কি করা যায় এই বিষয়ে পুরপ্রধানকে জানানো হয়েছিল কিন্তু কোন কাজ হয়নি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *