নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৫ জুন ২০২২ : হাসপাতালের দেওয়া খাবারে কেঁচো, ক্ষোভ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের রোগীর পরিজনদের মধ্যে। একাংশ রোগী রবিবার হাসপাতাল থেকে দেওয়া খাবার না নিয়ে বাড়ি থেকে কিংবা দোকান থেকে খাবার কিনে আনলেন।

উল্লেখ্য শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে রাতের খাবারে ভাত ও সোয়াবিনের তরকারি দেওয়া হয়। সেই খাবার মুখে তুলতে গিয়ে চক্ষুচড়ক গাছ এক শিশুর মায়ের। ভাতের মধ্যে মৃত কেঁচো জড়িয়ে রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান সোয়াবিন কিংবা ভাতে কেঁচো ছিল, সেই কেঁচো সেদ্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে হুলুস্থুল পড়ে যায়। অন্য রোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। রবিবার দিন সকালে খাবার দিতে আসেন ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। তবে আতঙ্কে অনেক রোগীর পরিজন এদিন খাবার নিলেন না। বাড়তি টাকা খরচ করে তারা বাইরের দোকান থেকে খাবার কিনে আনলেন।

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের কুকুরজান এলাকার বাসিন্দা দীপক রায় বলেন, আমার নয় মাসের মেয়ে সর্দিকাশি নিয়ে ভর্তি রয়েছে এই হাসপাতালের শিশু বিভাগে। গতকাল হাসপাতালের খাবারে কেঁচো পাওয়া গেছে। এই কারণে এদিন অনেকে খাবার নেয়নি। আমিও বাড়ি থেকেই খাবার নিয়ে এসেছি।
খাবার সরবরাহ সংস্থার ইনচার্জ দুলু ঘোষকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে চলে যান তিনি।
যদিও হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ি সদরের বিধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার বর্মা বলেছেন, হাসপাতালের খাবারে কেঁচো পাওয়া গেছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী রোগী কল্যান সমিতির বৈঠকে বিষয়টি তোলা হবে।