সঞ্জয় কুমার বর্মন, মাথাভাঙ্গা : উত্তর বাংলার রাজবংশী সমাজে প্রাচীন বহুল প্রচলিত চন্ডী নাচের আসর বসছে মাথাভাঙা মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে। স্মার্ট ফোনের যুগে চন্ডী নাচকে ঘিরে আগের মতো ঘিরে আর তেমন উদ্দীপনা চোখে পড়ে না বললেই চলে। তবুও হারিয়ে যেতে বসা সেই সংস্কৃতির গৌরব ফিরে আনতে এবার আসরে নামল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস এসোসিয়েশন (জিসিপিএ)। জিসিপিএর উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় চলেছে চণ্ডী নাচের আসর। কয়েকশো বছরের বিলুপ্তপ্রায় এই নাচ দেখতে ভিড় জমান আট থেকে আশি সকলেই।

একটা সময় ছিল যখন উত্তরবঙ্গের গ্রামে গঞ্জে নিয়মিত ভাবে বসত চণ্ডী নাচের আসর। তবে সময়ের সাথে বিলুপ্তির পথে রাজবংশী জনজাতির মাটির সংস্কৃতি। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা ১ ব্লকের নয়ারহাট,পানিগ্রামে পরিবেশিত হল চন্ডী নাচ। এই নাচ এক মাস ব্যাপী চলবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোড়া ঢাক বাজিয়ে চণ্ডী নাচ প্রদর্শন করেন শিল্পীরা। উত্তরের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই চণ্ডী নাচের আয়োজন। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোশোয়িশনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজবংশী জনজাতির মাটির সংস্কৃতি আগলে রাখতেই চণ্ডী নাচের আয়োজন।

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস এসোসিয়েশনের ব্লক কমিটির সম্পাদক পরিমল বর্মন জানিয়েছেন, বংশীবদনের নেতৃত্বে এই চণ্ডী নাচের মধ্যে দিয়ে রাজবংশী জাতিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। রাজবংশী সমাজের কৃষ্টি সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ চণ্ডী নাচ। এই নাচ একসময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকলেও বর্তমানে হারিয়ে যাওয়ার পথে। সেই সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে কোচবিহার জেলার ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত হবে আসর। তাঁর কথায়, এই চণ্ডী নাচের মধ্যে দিয়েই আগামীতে রাজবংশী সমাজের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে।
