জলপাইগুড়ি : শীতের হালকা আমেজে শহরে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা। শুক্রবারের মতো শনিবারও কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল জলপাইগুড়ি শহর ও আশপাশের এলাকা। সকালের ঠান্ডা হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হলেও মানুষজন বের হয়েছেন প্রয়োজনীয় কাজে। শীতের প্রভাব পড়তেই ডিবিসি রোড, সমাজ পাড়া মোড় এবং মার্চেন্ট রোডের বাজারে দেখা গেছে কেনাকাটার ভিড়।
প্রতিবারের মতো এবারও শীতের পোশাকের বিপুল সমাহার নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সোয়েটার, জ্যাকেট থেকে শুরু করে রকমারি মাফলার ও টুপি—সবই সাজানো রয়েছে দোকানের সামনেই। ব্যবসায়ী গোপাল মণ্ডল জানান, “শীত সবে শুরু হয়েছে। এবার দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, বলা যাচ্ছে না। তবে শিশুদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় টুপি যেমন মিউজিক টুপি, বাঘ, ভাল্লুক, মিকি মাউসের ডিজাইন এবং নানা ধরনের মোজা রয়েছে। দামও বেশ সাশ্রয়ী।”
বাজারে আসা ক্রেতারা ইতিমধ্যেই শীতের পোশাক কেনা শুরু করেছেন। ক্রেতা কৃষ্ণ রায় বলেন, “এদিন প্রথম ঠান্ডা ভালো করে অনুভব করলাম। বাইক চালাতে গিয়ে বোঝা যাচ্ছে ঠান্ডা পড়েছে। তাই মাফলার আর পায়ের মোজা কিনলাম।
পাশের আরেক ব্যবসায়ী জানান, “গত বছর শীত দেরিতে শুরু হলেও ব্যবসা ভালোই হয়েছিল। এবারও আমরা আশাবাদী। শিশুদের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি বড়দের জন্যও নানা ধরনের পোশাক এনেছি।”
শীতের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মানুষজন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। কুয়াশার দাপট যেমন সকালের সময় ঠান্ডা অনুভূতি বাড়িয়েছে, তেমনি শীতের পোশাকের দোকানে ভিড় জমে উঠছে। শীতের এই হালকা ছোঁয়া ইতিমধ্যেই শহরের মানুষের মনে আনন্দ জাগিয়েছে।
শীতের শুরুতে এমন উৎসবমুখর কেনাকাটা যেন জলপাইগুড়ির বাজারকে নতুন প্রাণ এনে দিয়েছে। ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা উভয়েই এখন অপেক্ষায় শীতের আরও দাপটের।