জলপাইগুড়ি : চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রীতম ঘোষ এক সময় রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেলের চিফ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার যুবকদের কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় দশ লক্ষ টাকার বেশি আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

জলপাইগুড়ি শহরের ৭৩ মোড় এলাকার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ চাকরি দেওয়ার নামে ডিএম অফিস, বিএলআরও অফিস, বনদফতর, কৃষি দফতরসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতারিতদের দাবি, তিনি আডমিট কার্ড এবং অন্যান্য নথি তৈরির অজুহাতে বারবার টাকা আদায় করতেন।
বুধবার, জলপাইগুড়ি শহরের এবিপিসি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় প্রতারিত যুবকদের একাংশ অভিযুক্ত প্রীতমকে আটক করে। উত্তেজিত জনতা তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। পরে তাঁকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কোচবিহারের বাসিন্দা অমিত সূত্রধর জানান, “আমি ছাড়াও অন্তত আট-দশজন যুবকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে প্রীতম। টাকা ফেরত চাইলেও সে কোনো উত্তর দেয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা তাঁকে থানায় নিয়ে আসি।”
অভিযুক্ত প্রীতম ঘোষ তাঁর অপরাধ স্বীকার করে জানান, সংগৃহীত টাকার একটি বড় অংশ কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। তবে তিনি প্রতারিতদের সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিন প্রতারিতরা প্রীতমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।