জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলো শুক্রবার। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভোটগ্রহণ। ২৩টি আসনের জন্য মোট ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনে ৬৮৭ জন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যের মধ্যে ৬৪৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ফলাফলে দেখা গেছে, সভাপতি পদে তৃণমূল কংগ্রেসের প্যানেলের প্রার্থী সোমনাথ পাল বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩০২টি ভোট। এই পদে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জয়ন্তি পাল পেয়েছেন ১৭৯টি ভোট, অন্তরা দেব ১০৯টি এবং অমিতাভ আইচ পেয়েছেন মাত্র ৩৩টি ভোট।

তবে সম্পাদক পদে বড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রার্থী তপন ভট্টাচার্য ১২৫টি ভোটে পরাজিত হন মহাজোটের প্রার্থী অভিজিৎ সরকারের কাছে, যিনি পেয়েছেন ৩১২টি ভোট। এই ফলাফলের পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে সম্পাদক পদে প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে।
সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অমল সরকার, যিনি ৩১৬টি ভোট পেয়েছেন। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কুন্তল সরকার পেয়েছেন ২২৪টি, কল্যাণ রায় ২১৪টি এবং দীপঙ্কর সেন পেয়েছেন ১৫৪টি ভোট।
সহ সম্পাদক পদে দেবপ্রিয়া সেন ২৭৯টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অসীম পণ্ডিত ২২৬টি, সমীর দাস ১৯১টি, বেদাশ্রুতি বসু ১৮৬টি এবং গৌতম দাস ১৭৭টি ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে নর্মদা ভূষণ রায় জয়ী হয়েছেন ২৪৩টি ভোট পেয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কাঞ্চন সিংহ পেয়েছেন ২১৭টি এবং সুশান্ত রায় পেয়েছেন ১৪০টি ভোট।
লাইব্রেরিয়ান পদে জয়ী হয়েছেন শান্তনু ভৌমিক, যিনি পেয়েছেন ৩২৭টি ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী হায়দার আলি পেয়েছেন ২৬৭টি ভোট।
২৩টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসন বিরোধীদের দখলে গেছে। যদিও সভাপতি পদ ধরে রাখতে পেরেছে তৃণমূল, সম্পাদকসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সুদীপ্ত কান্ত ভৌমিক জানান, নবনির্বাচিত কমিটি আগামী দুই বছর বার অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় দায়িত্বে থাকবে। সোমবার জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র প্রদান করা হবে।
এই ফলাফলে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষত সম্পাদক পদ হারানোর পর দলের অন্দরে প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।