জলপাইগুড়ি : আবারো খবরের শিরোনামে রাজ্য সরকারের সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেনাবাহিনীর চাকরির প্রলোভনে এবার পুলিশের নাম ভাঙিয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগ। তাতে জড়াল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হলে আদালত তাকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তের নাম মনিরুল ইসলাম, যিনি মালবাজার থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।

সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভারবাহক বা পোর্টার পদে নিয়োগের জন্য চলতি মাসেই একটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা। এই পদে আবেদন করতে গেলে প্রার্থীদের একটি পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে থানারই এক সিভিক ভলেন্টিয়ার মনিরুল ইসলাম নকল সার্টিফিকেট জোগাড় করে দেন। অভিযোগ আরও গুরুতর— ওই সার্টিফিকেটে থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ৩১৮(৪), ৩৩৬(৩), ৩৪০(২), ও ৩৪১(১) ধারায় গ্রেফতার করা হয় মনিরুলকে। মালবাজার থানায় কেস নম্বর ১৯৩ / ২৫-এর অধীনে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ।

এদিন জলপাইগুড়ি আদালতে সরকারি পক্ষের তরফে সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় ব্যানার্জী জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করেছে।”
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কর্মরত কারও বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ফের একবার প্রশ্ন তুলছে সিভিক ভলেন্টিয়ার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।