উত্তর সিকিমে ফের প্রকৃতির রোষ; লাচুং–চুংথাং রুট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন

গ্যাংটক, উত্তর সিকিম: প্রকৃতির রোষে ফের অচল হয়ে পড়ল উত্তর সিকিম। টানা বৃষ্টির জেরে লাচুং–চুংথাং সংযোগকারী প্রধান সড়কে একাধিক জায়গায় ধস নামল, যার জেরে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত স্তব্ধ। গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে ভেঙে পড়েছে গাছ, পাথর ও কাদা-পলি—পরিণত হয়েছে এক মৃত্যু-ফাঁদে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও যানবাহন। উপড়ে পড়া গাছ, ভেঙে পড়া পাথরের স্তুপের কারণে কোথাও কোথাও রাস্তা কার্যত অদৃশ্য। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হেঁটেও চলাফেরা করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত কোনও প্রাণহানির খবর নেই, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ। টানা বৃষ্টির কারণে এখনও উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে রাস্তা পরিষ্কার ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপাতত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

Nature's fury again in North Sikkim; Lachung-Chungthang route completely cut off

অঞ্চলে ডিজাস্টার রেসপন্স টিম ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা নজর রাখছেন পরিস্থিতির উপর। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলেও প্রশাসন সূত্রে ইঙ্গিত।

উল্লেখ্য, সিকিমের পাহাড়ি অঞ্চলে বর্ষা এলেই ধস নিত্য আতঙ্ক। উত্তর সিকিম, বিশেষ করে লাচুং-চুংথাং রুট পর্যটন, সেনা ও স্থানীয় মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধস শুধু রাস্তা বন্ধই করেনি, কার্যত গোটা উত্তর সিকিমকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তেনজিং ভুটিয়া বলেন, “প্রতি বছর এই ধসের ভয় নিয়ে বাঁচি। কিন্তু এমন ব্যাপক ধস বহুদিন দেখিনি।”

এই মুহূর্তে প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার—জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া ও পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক করা। তবে প্রশ্ন উঠছে, প্রতি বছর ধসের পুনরাবৃত্তির পরও সুরক্ষার স্থায়ী পরিকল্পনা কেন নেই?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *