সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ জুলাই ২০২২ : টেট পাশ করা এক মহিলাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চার লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের এক নেতা ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি চাকরিও পাননি, টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে দাবি। এ নিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থাকায় অভিযোগ করলেন ওই মহিলা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। গত ২০ জুন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি বিদায়ী জেলা কমিটির সদস্য তথা ট্রাক মালিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ৪ জুলাই একই নালিশ জানানো হয় জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজিএম) এজলাশেও। সে দিনই জেলা আদালতের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানাকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর।
এবিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
যদিও তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ বলেন,” আমাকে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ফাঁসানো হচ্ছে। যাঁরা টাকা দিয়েছেন আমার কাছে টাকা চাইছে। আমাকে বলে টাকা দেওয়া হয়নি, আমি জানিও না। এখন আমাকে ব্লাকমেল করে টাকা চাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত হোক আমিও চাই।”

এদিকে শহরের ওই অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “২০১২ সালে ও ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা পাশ করেছিলাম। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে সঞ্জীব ঘোষ চাকরির আশ্বাস দেন৷ ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে চাকরির পাওয়ার জন্য প্রথম কিস্তির চার লক্ষ টাকা জমা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে আরও আট লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছিল। চাকরি হয়নি, টাকা ফেরত চাইছি, টাকা দেওয়া হয়নি। শুধু ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।