
সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১২ আগস্ট : শিক্ষিকা শান্তা মন্ডল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। অভিযোগ, পাঁচবছরে তিনবার বদলি নিয়েছেন তিনি। নিজেই শিক্ষা দপ্তরে চিঠি লিখে পছন্দের জায়গা সুপারিশ করেছিলেন বারবার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রবি কিশান কাপুর এবং বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলে। শান্তা মন্ডলের পক্ষে আজ উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কল্যাণ বাবু বলেন, আজ শুধু শুনানি পর্ব ছিল। আগামীকাল জজ সাহেব অর্ডার পাশ করবেন। এই মামলায় সিবিআই প্রেয়ার ছিল না। কি করে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই মামলায় সিবিআই দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দেড় দিনের মধ্যে কাউকে স্কুলে জয়েন করার আদেশ কি করে দেওয়া হল তা নিয়েও তার বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানান কল্যাণবাবু। হাইকোর্টের রুটিন ম্যাটারে এভাবে সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই দিতে পারে না বলেও দাবি তার। মামলায় আমাদের পাশাপাশি স্টেটও তাদের আর্গুমেন্ট করেছে।

রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, এই কেসের দুটি পর্যায়ের শুনানি আজ হল। ট্রান্সফারের উপরে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার ওপর আমরা স্টেটের তরফে আর্গুমেন্ট রেখেছি। কেননা ট্রান্সফার নিয়ে ক্রিমিনালিটি কিছু ছিল না যেখানে সিবিআই দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

এই কেসের মামলাকারী প্রসুন সুন্দর তরফদারের আইনজীবী একরামুল বারি বলেন, ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানতে চেয়েছিল মামলকারি সিবিআই এর আবেদন করেছিলেন কিনা। আমাদের পক্ষ থেকে জানা হয়েছে, সেই আবেদন জানানো হয়নি। সিঙ্গেল বেঞ্চের অর্ডার ছিল শান্তা মন্ডলকে বীরপাড়া গার্লস স্কুলে জয়েন করতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি এখনো মেডিকেল লিভেই রয়েছেন এবং এই অবস্থাতেই তিনি ডিভিশন বেঞ্চে এ নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। আগামীকাল রয়েছে এই মামলার রায়দান বলে জানান তিনি।