সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : কোনো সাহায্যে পাইনি হাসপাতাল থেকে, কারো প্ররোচনাতেও এমন করিনি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি। আর যেন কাউকে মৃতদেহ কাঁধে বহন করতে না হয় জেলা শাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে দুই ব্যাক্তিকে মৃতদেহ কাঁধে তুলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে পথ চলার ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হতেই রাজ্য নয় দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল।

কেউ আবার এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র আখ্যাও দিয়েছিলেন। তবে সোমবার সেই মৃত স্ত্রীর স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান নিজেই সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন। এদিন এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের মাধ্যমে লিখিত আবেদন পত্র পাঠান তিনি। পাশাপাশি সেই দিনের দুর্বিসহ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বিনামূল্যে তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রীন জলপাইগুড়ি নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন জয়কৃষ্ণ বাবু।

সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জয়কৃষ্ণ দেওয়ান বলেন, রাতেই অ্যাম্বুলেন্স গাড়ির লোকজনদের সঙ্গে কথা বলি, কিন্তু কেউই তিন হাজার টাকার নিচে মৃতদেহ নিয়ে যেতে রাজি হয় নি। ৯০০ টাকা ভাড়ায় বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম স্ত্রীকে। কিন্তু তার মৃতদেহ একই দূরত্বে নিয়ে যেতে ৩০০০ টাকা চাওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে কাঁধে করে মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে কয়েকশো মিটার গিয়ে অসুবিধা হওয়ার জন্য রাস্তায় মৃতদেহটি নামিয়ে রাখি। সেই সময় এক ব্যাক্তি জানান, এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিনা পয়সায় আমার স্ত্রীর মৃতদেহ ক্রান্তির বাড়িতে পৌঁছে দেবে। পরবর্তীতে ওনারাই সেই কাজটি করেন।এর জন্য ওনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। শুনে নিন সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য।