পাম্প হাউস যেন ভুতুড়ে বাড়ি, তীব্র গরমের মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের চারটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের হাহাকার, পথে নেমে বিক্ষোভ সিপিআইএমের, সমস্যা জানা আছে জানালেন পুরমাতা।
সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : গত কয়েকদিন থেকেই রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখি। একদিকে যেমন দাবদাহে নাজেহাল জলপাইগুড়ি শহরের মানুষ, সেই সঙ্গে চলছে বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২০,২১,২২,২৩ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই পানীয় জলের সংকট সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে কার্যত অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই এই এলাকাগুলোতে পানীয় জলের সংকটের কথা বলে আসছিলেন পুর নাগরিকেরা। শুক্রবার এ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল সিপিআইএম দলের কর্মী সমর্থকরা। দলের সদর পশ্চিম এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে অরবিন্দ নগরের ভদ্রা কালীবাড়ি সংলগ্ন বন্ধ পাম্প হাউসের সামনে এ নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোকারীদের মধ্যে সংগঠণের সম্পাদক তপন গাঙ্গুলি তার বক্তব্যে বলেন, যে পাম্প হাউসের সামনে আমরা আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি সেটি দীর্ঘ সময় ধরে অচল, পুরসভা নির্বাচনে তৃনমূল দলের পক্ষ থেকে যা যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো, তার সবই আজ ভুলন্ঠিত।

অপরদিকে বিক্ষোভরত সিপিআইএমের কর্মী শুভাশিস সরকার অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল সরকারের সব কাজেই দূর্নীতি, সিরিসতলার পাম্প হাউসটি উদ্বোধনের দুই বছরের মধ্যে অচল হয়ে গেছে। এদিকে ভদ্রা কালী বাড়ি সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ পাম্প হাউসটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এই পাম্প হাউসগুলো অচল হয়ে যাওয়ায় প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ পানীয় জলের তীব্র সংকটে পড়েছে, কিন্তু পুর প্রশাসনের ঘুম ভাঙছে না। অপরদিকে পানীয় জলের এই সংকট সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার পুরমাতা পাপিয়া পাল। তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই নতুন পাম্প মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আসা করা যায়, এই চারটি ওয়ার্ডের মানুষের জল কষ্ট দ্রুত মিটে যাবে।