লক্ষ লক্ষ টাকার মালায় মোড়া ভীম, ভক্তদের উপচে পড়া ভীড় মেলা প্রাঙ্গণে

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ভীম পুজো নিয়ে জলপাইগুড়ি নিউজের বিশেষ রিপোর্ট। জানুন ৩৫০ বছরের পুরনো এই জাগ্রত পূজার বিস্তারিত। কেন এই পুজো দিতে আসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী

মেদিনীপুর : ভীম অর্থাৎ দ্বিতীয় পাণ্ডব এখানে দেবতার রূপে পূজিত হন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ভীম পুজো হয় নন্দকুমারে তাড়াগেড়্যায়। নন্দকুমারের ব্যবর্ত্তাহাট গ্রামের তারাগেড়্যায় ভীম পূজা শুরু হয় প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগে। এখনও সেই পুজো প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই হয়। বেড়েছে তার জৌলুস। বসন্ত পঞ্চমী বা শ্রী পঞ্চমী তিথির পর মাঘ মাসের কৃষ্ণ একাদশী তিথিতে ভীম পুজো শুরু হয়। একাদশী তিথির শুরুতেই ধুমধামের সহিত ঘটোত্তোলন হয় পুজোর।

বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি একাদশী তিথিতে ভীম পূজার শুরু হয়। তার আগে নন্দকুমারের ব্যবর্ত্তাহাট গ্রামে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের প্রাচীন ভীম পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ভীম পুজোর কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয় মন্দিরে থাকা প্রায় ৪০ ফুট ভীম দেবতার মূর্তি রং করার কাজ। পূজা শুরু হওয়ার আগের দিন বিকেল থেকে মানসিক পুজোর লাইন পড়ে যায়। এবারও তার অন্যথা হল না।

পূজার আগের দিন মানসিক পুজোর জন্য ছোট ছোট ভীম নিয়ে প্রায় ৮০০ জন পূর্ণার্থী মন্দিরে উপস্থিত হন। শুধু ভীম নয় সাথে কার্তিক ঠাকুরও রয়েছে। কথিত আছে ভীমদেবের কাছে যা প্রার্থনা করা হয় তা পূরণ হয়। আর সেই কারনে ভক্তরা টাকার মালা,কিংবা সোনা, রুপা, পিতলের জিনিস দান করে থাকে। ভক্তদের টাকার মালায় ডেকে যায় ৪০ ফুট লম্বা ভীমদেব।

১২ দিনের মেলায় প্রতিদিন কয়েকশ কুইন্টাল করে বাতাসা লুট হয়ে থাকে। এতো টাকা, সোনা, রুপা,পিতলের গহনার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ সাহায্য লাগে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন।

মন্দিরের পাশে পুকুরে ডুব দিয়ে বাবার কাছে মনের কথা জানালে সেই মনস্কামনা পুরন হয়ে থাকে।আর সেই কারনে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। পুজোর প্রথমদিন থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। যার নিরাপত্তা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পুজো কমিটি থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *