জলপাইগুড়ি: আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার আগেই সুখবর—গদাধর ক্যানেলের উপর বহুল প্রত্যাশিত পাকা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে দিল জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর। ফলে খুশির হাওয়া বইছে শানুপাড়া গ্রাম জুড়ে।

২০২৩ সালের বর্ষায় গদাধর ক্যানেলের ওপর থাকা হিমপাইপটি ভেসে যাওয়ায় সানুপাড়া গ্রামের সঙ্গে বাইরের জগতের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। কয়েক হাজার মানুষের বসবাস এই এলাকায়। জরুরি প্রয়োজনে বিশেষত রাত্রিবেলা, রোগী নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল।

পরে সেচ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাঁশের অস্থায়ী সেতু তৈরি হলেও তা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন একটি স্থায়ী, পাকা সেতুর জন্য।
এই দাবিকে সামনে রেখে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ ঘোষ লাগাতার সেচ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং প্রয়োজনীয় আন্দোলনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল। তবে তার আগেই দপ্তরের তরফে সেতুর কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়: “এতদিন খুব কষ্টে দিন কেটেছে। রাত হলে ওই অস্থায়ী সেতু দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব ছিল। এখন অন্তত আশা জেগেছে, আমাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে।”
সেতুর নির্মাণ শুরু হওয়ায় স্বস্তি যেমন ফিরেছে, তেমনি প্রশাসনের আগাম পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। আন্দোলনের প্রস্তুতি থাকলেও সেই কর্মসূচি বাতিল করে সাধারণ মানুষ এখন তাকিয়ে আছেন—সেতু দ্রুত শেষ হোক এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসুক।