সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৯ মে : ২০১৪ সালে দেশের সরকার দি স্ট্রিট ভেন্ডার প্রটেকশন অফ লাইভলিহুড রেগুলেশন অফ স্ট্রিট ভেন্ডিং অ্যাক্ট ২০১৪ প্রণয়ন করে। যার বলে সমস্ত হকারদের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন করতে হবে এবং সেই কমিটিতে ৪০% হকারদের প্রতিনিধি থাকবে। সমস্ত হকারদের পরিচিতি পত্র দিতে হবে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ি পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই হকার উচ্ছেদ করে চলেছে বলে অভিযোগ।
জলপাইগুড়ি শহরে হকারদের রাস্তার পাশে থাকা দোকানের গ্যাস, বাসনপত্র, সেলাই মেশিন সহ বিভিন্ন সামগ্রী উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। সিআইপি অনুমোদিত স্ট্রিট ভেন্ডার/ হকার্স ইউনিয়নের তরফে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ২৯ মে স্থানীয় সমাজপাড়া মোড়ে হকারদের নিয়ে খোলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী ৩১শে মে হকারদের আইনি অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে এবং দেশের আইনকে দ্রুত বলবৎ করতে পুরসভায় স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পুনর্বাসন ছাড়া একজন হকারকেও উচ্ছেদ করা যাবে না।
নির্দিষ্টভাবে হকারদের পরিচিতি পত্র প্রদান করতে হবে। অবিলম্বে পার্কিং জোন তৈরি করতে হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন স্ট্রিট ভেন্ডারস/ হকার্স ইউনিয়ন জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক নীলাঞ্জন নিয়োগী। সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা শুভাশীষ সরকার, কান্তি রাহা, কৃষ্ণ সেন, দুলাল রায়। সভায় উপস্থিত ফুটপাত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন কোন রকম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ প্রশাসন ও পুরসভা তাদের জিনিসপত্র তুলে নিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের রাস্তায় জায়গা নেই, দোকান নেই, তারা রাস্তায় বসেই ব্যবসা করেন। পুরসভা পুলিশ প্রশাসন রাস্তা থেকে তুলে দিলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়াও সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।