সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : তিস্তায় জারি হলুদ বিপদ সংকেত, হরপা বানের সতর্ক বার্তা কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডুবুরি নিয়ে প্রস্তুত সিভিল ডিফেন্স, স্ট্যান্ডবাই মোডে এনডিআরএফ। ।

গত কয়েকদিনে আরো শক্তিশালী হয়ে সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই উত্তর সিকিম হরপা বানে বিধ্বস্থ। আটক পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ করে চলেছে সেনা বাহিনী। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমতলেও দাপট বাড়িয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘণ্টায় শিলিগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ৯৪.৮০ মিলিমিটার, জেলার বানারহাটে বৃষ্টি হয়েছে ১৬৮ মিলিমিটার, মালবাজারে ১১৮.৫০ মিলিমিটার।

সমতলে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ইতিমধ্যে তিস্তা, জলঢাকা, লিশ, ঘিসের মতো পাহাড়ি নদীগুলোর জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে শনিবার রাত থেকে। জলপাইগুড়িতে অবস্থিত সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে রবিবার বেলা এগারোটায়। বর্ষার বাড়বাড়ন্ত এবং কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের জারী করা হরপা বানের সতর্কতাকে মাথায় রেখে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন যে কোনো বড় বিপর্যয় থেকে সাধারন মানুষকে উদ্ধার করার কাজ দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর ডুবুরি, স্পিড বোট সহ মহড়া চলছে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ী দীঘিতে।

এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা শাসক অশ্বিনী রায় জানান, আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সিভিল ডিফেন্স বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছি, এর সঙ্গে ডুয়ার্স এর ওদলাবাড়িতে এনডিআরএফ্ বাহিনীর জওয়ানেরা প্রস্তুত রয়েছে যে কোনো ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করার জন্য।

অপরদিকে জলপাইগুড়ি সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর কমান্ডেন্ট তথা সদর মহুকূমা শাসক সুদীপ পাল জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য চারটি স্পীড বোট, কুড়ি জন ডুবুরি সহ বিভিন্ন স্থানে দেশি নৌকো নিয়ে আমরা সদা প্রস্তুত আছি।