জলপাইগুড়ি: এক মাস রমজানের পর ঈদের খুশিতে মেতে উঠল জলপাইগুড়ি। সোমবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল ফিতরের বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শহরের নবাববাড়ি মসজিদ, দিনবাজার মসজিদ, কালু সাহেব মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ভিড় জমান নামাজে অংশ নিতে। আট থেকে আশি—সকলেই ঈদের জামাতে শামিল হয়ে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শহরের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় কেন্দ্র মার্চেন্ট রোড মসজিদেও ঈদের সকাল ছিল উৎসবমুখর। ছোট শিশুরা নতুন পোশাকে নামাজে অংশ নিতে এসে খুশির আমেজে মেতে ওঠে। তাদের হাসি-আনন্দে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। মসজিদের প্রাঙ্গণে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানায়, মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে ভাগ করে নেয় ঈদের আনন্দ।

এদিন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাতো নবাববাড়ি মসজিদে গিয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “ঈদ শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটা সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। সকলে মিলেমিশে এই আনন্দ উপভোগ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
নবাববাড়ি মসজিদের ইমাম মুক্তি মেহবুব আলম বলেন, “রমজান মাস আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। ঈদুল ফিতর তারই প্রতিফলন, যেখানে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।”

এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল যথাযথ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় নামাজের আয়োজন। ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগও দেখা গেছে—ত্রাণ বিতরণ, দুস্থদের সহায়তা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়।
ঈদের খুশির এই মুহূর্ত জলপাইগুড়িকে আরও একবার সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে আবদ্ধ করল, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ একে অপরের আনন্দ ভাগ করে নিল।