ডুয়ার্স, ১৬ মে: বুনো প্রাণীদের প্রতি মানবিকতা আর পেশাদারিত্বের উজ্জ্বল নজির রাখলেন দুই রেলচালক। ফের রক্ষা পেল একদল হাতির প্রাণ। ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গলে ছুটে চলা রেলপথে, একটিমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত একাধিক দুর্ঘটনার সম্ভাবনাকে রুখে দিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ চালসা ও নাগরাকাটা স্টেশনের মাঝামাঝি, ৬৮/৪ নম্বর পিলার সংলগ্ন চাপড়ামারি জঙ্গলের রেললাইনে হঠাৎ করেই উঠে আসে শাবকসহ পাঁচটি হাতির দল। সেই মুহূর্তে ডুয়ার্সের বুক চিরে ধাবমান ছিল আপ সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস। তবে বিপদ এড়াতে এক মুহূর্ত দেরি করেননি লোকোপাইলট এসসি সরকার এবং সহকারী লোকোপাইলট ইন্দল দাস। সতর্ক দৃষ্টিতে তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। রেলপথ পেরিয়ে বনের ভিতর চলে গেলে তবেই ট্রেন আবার যাত্রা শুরু করে।
এই মাসেই এটি ছিল তৃতীয়বারের মতো এমন ঘটনা। গত ১০ মে ৬৮/৭ নম্বর পিলারে মাকনা হাতি, এবং ১৩ মে জলদাপাড়ার জঙ্গলে চারটি বাইসন একইভাবে রক্ষা পেয়েছে চালকদের বিচক্ষণতায়।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম জানিয়েছেন, “বনজ প্রাণীদের সুরক্ষায় আমরা দায়বদ্ধ। চালকদের নিয়মিত সচেতন করা হয় এবং জঙ্গল সংলগ্ন রুটে ট্রেন চলাচলে সীমিত গতি বজায় রাখার নির্দেশ রয়েছে।”
ডুয়ার্সের ঘন সবুজ বনাঞ্চলে বারবার বন্যপ্রাণী উঠে আসছে রেললাইনে। তবে সৌভাগ্যবশত ট্রেনচালকদের তৎপরতা ও কর্তব্যপরায়ণতা এইসব প্রাণীদের জীবন রক্ষা করছে। এই সাফল্যে খুশি পরিবেশপ্রেমী মহল।