সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : বীরেন্দ্র নাথ দত্তগুপ্ত। নাম শুনেছেন? ইতিহাস বইয়ে কোনদিন পড়েছেন? নাম শোনা শোনা মনে হলেও তাকে পড়া হয়ে ওঠেনি। তাই না! অথচ দেখুন তিনিও তার প্রানটি দিয়েছিলেন এই দেশের জন্য। যেমন ক্ষুদিরাম দিয়েছিলেন, ভগত সিং দিয়েছিলেন। কি আশ্চর্য তাদের কথা পড়লেও বীরেন্দ্রকে তো জানা হয়ে ওঠেনি। তিনি জলপাইগুড়ির ভূমিপুত্র নন। একুশ বছরের জীবনের মেরেকেটে একবছর তিনি জলপাইগুড়িতে ছিলেন। পড়েছেন জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলে। তবুও তিনি জলপাইগুড়ির প্রথম শহিদ।

বীরেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্ত ছিলেন পরাধীন ভারতের অগ্নিযুগের এক অবিস্মরণীয় শহীদ বিপ্লবী। ১৮৮৯ সালের ২০ শে জুন অধুনা বাংলাদেশের ঢাকায় এই নির্ভীক দেশপ্রেমিকের জন্ম। প্রথম যৌবনেই তার ভারতের সমকালীন রাজনীতিতে প্রবল আগ্রহ জন্মায় এবং তিনি সক্রিয় বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক পুলিশ বিভাগের সহ-অধীক্ষক সামশুল আলমকে ১৯১০ সালের ২৪ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করেন তিনি। মামলার বিচারে বীরেন্দ্রনাথের ফাঁসি হয় সেই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৬ সালে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে তাঁর আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়।

এই মৃত্যুহীন প্রান বীরেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই লেখা পুস্তক ” বীর বীরেন্দ্র”। লেখক অরুণ কৃষ্ণ ঘোষ। প্রকাশ হলো রবিবার শহরের বাবুপাড়ার সুভাষ ভবনে। এদিন শহরের বিশিষ্ট কয়েক জনের উপস্থিতিতে এই বইটির উদবোধন করা হয়। বইটির লেখক জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলের শিক্ষক অরুন কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, সবাই যাতে জলপাইগুড়ির প্রথম শহীদ বীরেন্দ্র দত্ত গুপ্তকে জানতে পারে তার জন্যই এই ধরনের বই লেখা হয়েছে ।