সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৯ জানুয়ারি’২৪ : জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন বাজার নিয়ে সৈকত- জয়ন্তর বাকযুদ্ধ তুঙ্গে! লোকসভা ভোট পেরিয়ে গেলেই সাংসদ ডা: জয়ন্ত রায়ের গিমিক শেষ হয়ে যাবে। ভাঙচুর করে সরিয়ে দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের- দাবি উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জীর। অন্যদিকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাংসদ ডা: জয়ন্ত রায়ও। সাংসদের বক্তব্য, বাতেলা মারছেন উপ পুরপিতা। ভোটের গিমিক জয়ন্ত রায় করেন না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রেলের তরফে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের ব্যবসায়ীদের একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদের আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সাংসদ ডা: জয়ন্ত রায় উদ্যোগ নেওয়ায় এই মুহূর্তে উচ্ছেদের আতঙ্ক থেকে মুক্ত হন ব্যবসায়ীরা।

উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, আমরা সবসময় চাই টাউন স্টেশনের উন্নয়ন হোক। পাশাপাশি একটি দিল্লিগামী ট্রেন যাতে শহরবাসী পায় তার দাবিও আমরা রাখছি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রেল করুক। এর আগে দেখা গেছে এনজিপিতে ভাঙচুর করে রেল উন্নয়নের কাজ করেছে। এখানেও লোকসভা ভোট পার হয়ে গেলে সাংসদের গিমিক শেষ হয়ে যাবে বলে তীব্র কটাক্ষ করেন সৈকত। তার আরও বক্তব্য, ব্যবসায়ীদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি পুরসভা। কিন্তু সাংসদ বিষয়টির মধ্যস্থতা করছেন। উনি তো এবার লোকসভায় হেরে যাবেন। তারপর কি হবে? তবে পুরসভা সময় বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান উপ পুরপিতা।

নাম না করেই সৈকত চ্যাটার্জির বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, উনি যা খুশি তাই বলতে পারেন। তার আর আমার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতার অনেক ফারাক আছে। মানুষ কাকে বিশ্বাস করেন, তা সকলেই জানেন। বাতেলা মারাটা আমার ধাতে নেই। মানুষ সেটা জানেন। ভোটের গিমিক জয়ন্ত রায় করেন না। শুধু ভোটে জেতার জন্য জয়ন্ত রায় আসেনি। জয়ন্ত রায় এসেছে মানুষের সেবা করতে বলে মন্তব্য সাংসদের।