জলপাইগুড়ি: ৩১তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের আসর আয়োজিত হলো মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের রবীন্দ্র ভবনে। ৩ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত এই কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করেছিল দেশের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা, যেমন কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইউএই থেকেও অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে।
জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা নিজেদের গবেষণালব্ধ প্রকল্প ও বিজ্ঞান মডেল বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন। এ বছরের সম্মেলনের থিম ছিল বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। উল্লেখ্য, এই সম্মেলন প্রতিবছর ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়।
এ বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে জাতীয় স্তরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৩০ জন ক্ষুদে বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি রোড হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ভগবতী মন্ডল একজন। তার গবেষণার বিষয় ছিল “পার্থেনিয়াম আগাছা থেকে জৈব সার তৈরি করে কৃষি কাজে ব্যবহার”। এই প্রকল্পে তার প্রশিক্ষক ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌম্যজিৎ দে।
বাংলা দলের নেতৃত্বে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার কোঅর্ডিনেটর গৌতম মাহাতো, রাজ্য কোঅর্ডিনেটর ডক্টর বাসোরি গুহ এবং রাজ্য সংগঠক অভিজিৎ বর্ধন। বাংলা দলের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিশেষত রবীন্দ্রনৃত্য, দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
৩ জানুয়ারি প্রভাতফেরীর মাধ্যমে কংগ্রেসের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডক্টর মোহন যাদব। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গুভাই সি প্যাটেল।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক ডক্টর রাজা রাউত বলেন, “দেশের ভবিষ্যতের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এবং ছাত্রছাত্রীদের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সক্ষম করার জন্যই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।”
জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে ভগবতী মন্ডলের সাফল্য জলপাইগুড়ি জেলার গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে।