জলপাইগুড়ি: নরসিংহ চতুর্দশী—ভগবান নরসিংহের আবির্ভাব দিবস। অথচ এই দিনেই কাঁদছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র নরসিংহ মন্দির। বহু মানুষের অজানা এই প্রাচীন স্থাপনাটি জলপাইগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে, জলপাইগুড়ি হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই মন্দির। সংস্কারের কোনো চিহ্ন নেই, বরং মন্দির চত্বর দখল করেছে নেশাখোরদের দল।
স্থানীয়দের মতে, একসময় এই মন্দির ছিল এলাকার গর্ব। প্রাচীন স্মৃতিচিহ্ন ও স্থাপত্যের ছাপ এখনও বহন করে মন্দিরের ভগ্নপ্রায় কাঠামো। আজও সেখানে দাঁড়িয়ে পাওয়া যায় অতীতের শ্বাস, ইতিহাসের স্তব্ধ আওয়াজ। কিন্তু বর্তমানে সেই মন্দিরই নেশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।
রবিবার নরসিংহ চতুর্দশীর দিনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে স্বীকার করেন, “মন্দিরের পরিবেশ সত্যিই নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু যুবক এখানে নিয়মিত নেশা করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও ফল মেলেনি। অথচ মন্দিরে এখনও এমন কিছু প্রাচীন উপাদান রয়েছে, যা হয়তো অন্য কোথাও আর দেখা যাবে না।
জলপাইগুড়ির নরসিংহ মন্দির শুধুমাত্র একখণ্ড স্থাপনা নয়, এটি উত্তরবঙ্গের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী। আজ তারই বাঁচার আর্তি যেন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে—শুধু শোনা দরকার সেই আর্তনাদ।