ডিজিটাল ডেস্ক : পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ মুন্সিকে ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। লস্কর-ই-তৈবা (LeT)-র নির্দেশে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যানিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল জাভেদ। তার বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের তাংপুরায়।
জাভেদ মুন্সি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক উল মুজাহিদিনের (TuM) সদস্য এবং আইইডি বিস্ফোরক তৈরির বিশেষজ্ঞ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের রেকর্ডে তার নাম রয়েছে একাধিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে। ২০১১ সালে আহল-ই-হাদিস নেতা শওকত শাহের হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যানিংয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। জাভেদকে গ্রেফতারের পর জানা যায়, সে অতীতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে ভুয়ো পাসপোর্টের মাধ্যমে যাতায়াত করেছে। বর্তমানে তার উদ্দেশ্য ছিল ক্যানিং এলাকায় গোপনে লুকিয়ে থেকে স্লিপার সেল গঠন করা।
গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য এবং জম্মু-কাশ্মীরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে। তেহরিক উল মুজাহিদিনের পাশাপাশি আনসার উল বাংলা টিম, জেএমবি এবং আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (AQIS)-এর সদস্যরা নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং কেরালা-সহ একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনগুলির সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোয়েন্দারা।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের পরিকল্পনা ঠেকাতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নজরদারি বাড়িয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক মহিলা মাদ্রাসা খোলা হয়েছে, যেগুলোর উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলোর পেছনে কে বা কারা অর্থ সাহায্য করছে এবং সেগুলোতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কিনা, তা তদন্তের বিষয়।
জাভেদ মুন্সিকে ট্রানজিট রিমান্ডে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার গ্রেফতারের ঘটনায় আবারও রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে।