জলপাইগুড়ি, ৩ মে: রাস্তার ধারে জমে উঠেছিল নেশার আসর। চায়ের দোকানের আড়ালে চলছিল প্রকাশ্যেই মদের সেবন। কেউ কিছু বলছে না, যেন এটি রোজকার ঘটনা। কিন্তু আচমকাই সেই নিয়ম ভাঙল—পিছন থেকে এসে হাজির জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। একপলকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় গোটা আসর, শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে এক যুবক।

ধৃত যুবক অবশ্য কৌশল নেয়নি, সাংবাদিকের মাইক্রোফোন দেখেই অকপট স্বীকারোক্তি—
“চুরি করিনি তো! দারু খাচ্ছিলাম। তাই পুলিশ ধরেছে!”
ঘটনাটি জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ইন্দিরা গান্ধী কলোনি বাজার এলাকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এ অঞ্চলে চায়ের দোকান ও কিছু হোটেলের আড়ালে চলছে মদের রমরমা ব্যবসা। শুধু ব্যবসা নয়, সন্ধ্যা নামলেই রাস্তায় গড়ে ওঠে ছোট ছোট মদের আড্ডা—যা এলাকার মহিলাদের পথ চলাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সরজিত দাস স্পষ্ট ভাষায় বলেন—
“এলাকায় এমন অসামাজিক কাজ দিনের পর দিন চলছে। পুলিশের উচিত শুধু ধরপাকড় নয়, যে জায়গা থেকে এই ব্যবসা চলছে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া। আর এই মদ কতটা বিষাক্ত, কোথা থেকে আসে—সবই খতিয়ে দেখা দরকার।”
প্রশ্ন উঠছে, একাধিকবার অভিযান চালানো সত্ত্বেও কেন নির্মূল করা যাচ্ছে না এই বেআইনি ব্যবসা? পুলিশের সক্রিয়তা প্রশংসনীয় হলেও, অভিযান থেমে গেলেই কি ফের জেগে উঠবে এই নেশার ঠেক?
নিশ্চিতভাবে বলা যায়—এই সমস্যা শুধু এক ব্যক্তির নেশা নয়, এটা গোটা সমাজের নীরব ব্যর্থতা।