জলপাইগুড়ি, ১৪ মে: বুধবার ভোর থেকে হঠাৎই কালবৈশাখীর রুদ্ররূপ। ঘুম ভাঙার আগেই শহরবাসীকে চমকে দিল বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টি। শহরের একাধিক এলাকায় গাছ ভেঙে পড়েছে, লোডশেডিংয়ে ভুগেছেন বহু মানুষ।
তীব্র দাবদাহের পর এই বৃষ্টি যেন প্রকৃতির একটুখানি দয়া – তবে সেই স্বস্তির মধ্যে ভর করেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলপাইগুড়ির দিনবাজার এলাকা।

অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে দিনবাজারের চাউলপট্টি অঞ্চল। জল ঠেলে দোকানে ঢুকেছেন ব্যবসায়ীরা, ভিজে গেছে পণ্যের পসরা। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বর্ষার শুরুতেই এই চেহারা – তবে সামনে বর্ষাকালে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার।
এক ব্যবসায়ী জানালেন – “এখন তো বর্ষা সবে শুরু, এরপর কী হবে ভেবে আতঙ্ক লাগছে। বাজারে ঢুকতে হলে যেন নৌকা লাগে!”

জলাবদ্ধতার বিষয়ে দিনবাজারের কাউন্সিলর সরিতা সাহা বলেন, “বাজার উন্নয়নে রাস্তার কাজ চলছে। কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে। আমরা নজর রাখছি।”
এদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ছাড়াও দার্জিলিং ও কালিম্পঙে হতে পারে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারি বৃষ্টি।

শহরের মানুষ এখন বৃষ্টিতে দু’ধরনের অনুভবেই ভুগছেন – একদিকে দাবদাহ থেকে মুক্তির স্বস্তি, আর অন্যদিকে পরিকাঠামোর দুর্বলতায় জলের সঙ্গে লড়াই।
প্রশ্ন জাগছে – সামান্য বৃষ্টিতেই যদি শহর থমকে যায়, বর্ষা জমে উঠলে শহর বাঁচবে কিভাবে?