বিশ্বজিৎ নাথ : প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ নেপাল দেব ভট্টাচার্য। সোমবার মধ্য রাতে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ছাত্রাবস্থা থেকে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নেপালদেব ভট্টাচার্য। এসএফআইয়ের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নেপাল দেব। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ছাড়াও তিনি সিপিএমের রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি ছিলেন সিটুর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি।

ভাটপাড়ার বাসিন্দা নেপাল দেব ভট্টাচার্যকে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নয়ের দশকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যদিও ছয় বছর বাদে ফের তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। নেপাল দেবের প্রয়ানে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ নেপালদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ হাসপাতাল থেকে প্রথমে সিটুর রাজ্য দপ্তর শ্রমিক ভবনে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মরদেহ আনা হয় এসএফআই রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে।

তারপর দত্তবাগান মিল্ক কলোনির ‘বেলগাছিয়া ভিলা’, তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। সেখান থেকে লেকটাউন বইমেলা অফিস হয়ে দুপুরে বারাসতে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কার্যালয়। জেলা দপ্তরে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর মরদেহ সিটু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দপ্তর, তারপর বারাকপুরে আনা হয় তাঁর মরদেহ। বিকেলে নেপাল দেবের মরদেহ আনা হয় তাঁর আদি বাসভবন ও প্রথম রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্র ভাটপাড়ায়। সেখানে ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন কুমার সিং, ভাটপাড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ ও সিআইসি অমিত গুপ্তা-সহ দলীয় কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তারপর ভাটপাড়ার মুক্তারপুর শ্মশান ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।