জলপাইগুড়ি : এক রাতে জলপাইগুড়ি শহরে তিন তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা। বাইকে করে এসে কথা বলার ছলে মহিলাদের গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এপ্রিল ও মে মাসেও একই কায়দায় কয়েকটি ছিনতাই হয় শহরে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে রীতিমতো আতঙ্কিত শহরবাসীরা। জলপাইগুড়ি শহর কি ছিনতাইবাজদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে প্রশ্ন আতঙ্কিত শহরবাসীদের।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব অরবিন্দনগরের গৃহবধূ শুক্লা নাগ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বাইকে দু’জন এসে তাঁর গলা থেকে ১১ গ্রামের সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায়।
এই ঘটনার কিছু সময় পরেই দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে।পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা পূর্ণিমা সিনহা কাজ সেরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর গলা থেকেও হার ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে করে পালায় দুই দুষ্কৃতী।

এরপরের ঘটনাটি ঘটে শহরের পুরাতন দমকল অফিস সংলগ্ন শনি মন্দির এলাকায়। স্বামীর সাথে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন ৫নং ঘুমটির সরকার পাড়ার গৃহবধূ ঝুমা চন্দ। শনি মন্দির এলাকায় স্কুটি থেকে নামার মুহূর্তে তার গলার ১৩ গ্রামের সোনার হার ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনাগুলির জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিন জনই। কোতয়ালী থানায় অভিযোগ জানান তারা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঝুমা চন্দ বলেন, স্কুটি থেকে নামার মুহূর্তে কিছু বুঝে উঠার আগেই হার নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
শহরের এক বাসিন্দা বলেন, শহরে এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা খুব বেড়ে গেছে। সম্ভবত নেশাগ্রস্তরা এই কাজগুলো করছে। আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য, এবছরের ২৭ এপ্রিল দুই যুবক ক্রেতা সেজে মহুরিপাড়ায় এক মহিলা দোকানীর সোনার গলার হার ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এরপর ২৯শে এপ্রিল শান্তিপাড়ায় এক বীমা সংস্থার সামনে থেকে আরেক পথচারী মহিলার গলার হার ছিনতাই হয়েছিল। তারপর ৮ই মে ফের শান্তি পাড়া মোড়ে এক মহিলার গলার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল। পরে পুলিশ ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক অভিযুক্তকে বাইক সহ গ্রেপ্তার করে। ধৃত অভিযুক্তের নাম বিশ্বজিৎ চৌধুরী, বাড়ি এনজেপির অম্বিকা নগরে। ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া সোনার হার গলানো অবস্থায় বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কিন্তু তারপরেই ছিনতাই কমে নি শহরে।