শহর-গ্রাম বিভাজন করা চলবে না- জলপাইগুড়ি শহরে টোটো চালানোর অনুমতির দাবীতে আন্দোলনে তিনটি গ্রামের টোটোচালকরা

জলপাইগুড়ি শহরে টোটো চালানোর অনুমতির দাবিতে এবার আন্দোলনে গড়ালবাড়ী, বেরুবাড়ী, মণ্ডলঘাট অঞ্চলের টোটো চালকেরা। শহরে টোটো চালানোর বিষয়ে সব ইউনিয়নের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত, শহরবাসীকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে না পুরসভা, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী।

সংবাদদাতা জলপাইগুড়ি : বৃহস্পতিবার গড়ালবাড়ী, বেরুবাড়ী, মণ্ডলঘাট অঞ্চলের টোটো চালকেরা জলপাইগুড়ি শহরের বুকে টোটো চালানোর অনুমতির দাবীতে টোটো নিয়ে আন্দোলন করে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এক সঙ্গে এত টোটো শহরে প্রবেশ করলে যানজট সৃষ্টি হতে পারে এই বিষয়টি চিন্তা করে আন্দোলনরত গড়ালবারি, মণ্ডলঘাট, বেরুবাড়ী থেকে আগত টোটো চালকদের পান্ডা পাড়া পার্কের মোড়ে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর টোটো চালকরা পায়ে হেঁটে মিছিল করে পুরসভা ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখায় এবং তাদের দাবি তুলে ধরে।

উল্লেখ্য জলপাইগুড়ি পুরসভা শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে শহরের পঁচিশ টি ওয়ার্ড ও শহর সংলগ্ন অরবিন্দ, খরিয়া, পাহাড়পুর ও পাটকাটা অঞ্চলের পাঁচ/ সাড়ে পাঁচ হাজার টোটো কে শহরে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী 10 জুন থেকে উপরোক্ত এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকার টোটো চালকদের শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে শহরে প্রায় 15 হাজার টোটো চলাচল করে বলে জানা গেছে।

আন্দোলনরত গড়ালবারি, মণ্ডলঘাট, বেরুবাড়ী অঞ্চলের টোটো চালকদের দাবি, শহর গ্রাম বিভাজন করা চলবে না। তাদের তিনটি অঞ্চলের প্রায় এক হাজার টোটো চালককে শহরে টোটো চালানোর অনুমতি দিতে হবে। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলন করবেন।

Toto drivers of three villages are protesting for permission to run toto in Jalpaiguri town

এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়ে বলেন, জলপাইগুড়ি শহরে এক লক্ষ 62 হাজার মানুষ বাস করেন। শহরে টোটো চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব কয়টি ই-রিক্সা চালক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, তারপরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরসভার পঁচিশটি ওয়ার্ড এবং শহর সংলগ্ন চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটো চালকেরাই শহরের বুকে টোটো চালাতে পারবেন। এখন যারা আন্দোলন করছেন, তাদের অধিকার আছে আন্দোলন করার। এই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন দেখবে। কিন্তু জলপাইগুড়ি পুরসভা কখনোই শহরের নাগরিকদের বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *