ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। সেই দুর্নীতি আটকাতে এবার কড়া অবস্থান নিল রাজ্য সরকার। অনেক গৃহিণী এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। জেনে নিন কারা রয়েছেন সেই তালিকায়।
সরকার জানিয়েছে, অনেকেরই নির্দিষ্ট বয়স হয়নি। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে বয়স বাড়িয়ে ফর্ম ফিলাপ করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ শ্রেণীর আবেদনকারী নিজেকে দাবি করেছেন তপসিলি জাতি হিসেবে। এদের আর টাকা ঢুকবে না।
অনেক মহিলা রাজ্য সরকারের অন্যান্য আর্থিক ভাতার সুবিধা নিয়ে থাকেন। তাঁরা টাকা আর পাবেন না।
বয়সের ক্ষেত্রে জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে বয়স বাড়িয়ে যারা আবেদন করেছিলেন, তাদের টাকাও এবার থেকেও বন্ধ।
সাধারণ এবং ওবিসি ক্যাটাগরির মহিলাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের ক্ষেত্রে রয়েছে ১০০০ টাকা। অনেকেই ভুল তথ্য দিয়েছেন বেশি টাকা পাবার লোভে। তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।
অনেকেই নিজের ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় জয়েন্ট একাউন্ট দিয়েছেন আবেদনের সময়। তাদেরও টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। শুধুমাত্র নিজের নামের অ্যাকাউন্ট সঠিক বলে বিবেচিত হবে।
অনেক মহিলার খোঁজ পাওয়া গেছে যারা একই নামে দুই তিনটি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প এর একাউন্ট করেছেন এবং সব কটি অ্যাকাউন্টেরই সুবিধা নিচ্ছেন, তাদের একাউন্ট বাতিল করে দেওয়া হবে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে অনেক মহিলাই সরকারি চাকরীর পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও তুলছেন। তাদের অ্যাকাউন্টগুলি এবারে বন্ধ হতে চলেছে। যারা একাউন্ট করার পরে চাকরি পেয়েছেন, তাদেরও একই হবে।
ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থাকা স্বত্বেও যে সমস্ত মহিলারা তাদের KYC আপডেট করেননি। KYC আপডেট না করা পর্যন্ত ওই সকল মহিলারা এবার থেকে আর লক্ষীর ভান্ডার এর টাকা পাবেন না।
তবে এই প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলবে বলে জানিয়েছে সরকার। বৈধ নথি এবং নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এমন মহিলারা এই স্কিমের অধীনে প্রতি মাসে টাকা পেতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না৷ তবে ভুয়া সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে।