সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩০ জুলাই ২০২২ : ভুট্টা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হল আরও একজন। পুলিশ হেফাজতে থাকা ধৃতদের জেরা করে উদ্ধার হল পাচার হওয়া ৬ লক্ষাধিক মূল্যের ২৮৬ কুইন্টাল ভুট্টাও। এ নিয়ে ভুট্টা পাচার কাণ্ডে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল মোট চারজনকে। উল্লেখ্য, এর আগেই এই কেসে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া ডালখোলার সুজাপুরের বাসিন্দা মনি কুমার দাসকে (২৩) আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, অসম থেকে এক লরি ভূট্টা যা পরিমাণে ২৮৬ কুইন্টাল জলপাইগুড়ি রানী নগরে আনলোড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ মাসের ১৬, ১৭ ও ১৮ জুলাই এই তিনদিন লরিটি রানীনগরে থাকলেও সেখানে ভুট্টা খালি না করে স্থানীয় কিছু যুবকের সহায়তায় ডালখোলায় বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই লরির চালক তথা মালিক দেবব্রত সামন্ত সেই ভুট্টা ডালখোলায় বিক্রি করে গাড়ি নিয়ে তার বাড়ি মেদিনীপুরে চলে যায়। এদিকে ভুট্টার মালিক আসামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন এ মাসের ২৩ তারিখ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত নামে। মেদিনীপুরের তমকুলে অভিযান চালিয়ে আগেই লরি বাজেয়াপ্ত সহ গ্রেফতার করে লরির চালক দেবব্রত সামন্ত ও তার দুই সঙ্গী রঞ্জিত প্রামাণিক ও অরবিন্দ দাসকে। কিন্তু অধরা ছিল পাচার হয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ ভুট্টাই। অভিযোগ গ্রেপ্তার হওয়া চতুর্থ ব্যক্তি মনি কুমার দাসকেই ডালখোলায় এই ভুট্টা বিক্রি করা হয়েছিল। অভিযান চালিয়ে পরে তাকেও গ্রেফতার করল সাদা পোশাকের পুলিশ। সম্পূর্ণ এই অপারেশনে নেতৃত্ব দেন এই কেসের আই ও নারায়ণ ভৌমিক। এ বিষয়ে ভুট্টার মালিক লোকমান হোসেন বলেন, গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভুট্টাই। এর মূল্য ছয় লক্ষাধিক টাকা। সম্পূর্ণ ভুট্টাই তিনি ফিরে পেয়েছেন বলে জানান। কোতোয়ালি থানার পুলিশকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লোকমান বাবু।
